সিরিয়ার নতুন প্রশাসনের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের উদ্যোগ
- By Jamini Roy --
- 22 December, 2024
সিরিয়ার নতুন প্রশাসন ক্ষমতাচ্যুত বাশার আল-আসাদের উত্তরাধিকার নিয়ে কাজ শুরু করেছে। ক্ষমতা দখলের মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যেই তারা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক স্থাপন ও দেশের অভ্যন্তরে স্থিতিশীলতা আনতে উদ্যোগ নিচ্ছে। এ লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকার পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে নতুন দুই ব্যক্তিকে নিয়োগ দিয়েছে।
সিরিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা সানা জানায়, শনিবার (২১ ডিসেম্বর) নতুন প্রশাসনের ক্ষমতাসীন জেনারেল কমান্ড আসাদ হাসান আল-শিবানিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিদ্রোহী নেতা মুরহাফ আবু কাসরাকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করেছে। আল-শিবানি এবং আবু কাসরা উভয়ই হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) প্রধান আবু মোহাম্মদ আল-জোলানির ঘনিষ্ঠ বলে জানা গেছে।
সিরিয়ার নতুন প্রশাসনের একজন সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানায়, "এটি সিরিয়ার জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন, যা শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনতে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক স্থাপনের একটি বড় পদক্ষেপ।"
অন্যদিকে, এইচটিএস প্রধান আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি সিরিয়াকে উন্নত মধ্যপ্রাচ্যের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন। গণমাধ্যম আশারক আল আওসাতকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, "বাশার আল-আসাদের পতনের মাধ্যমে ইরান নতুন করে চাপে পড়েছে। সিরিয়ার ভূমি ব্যবহার করে ইরান আরব দেশগুলোর মধ্যে সংঘাত সৃষ্টির চেষ্টা করছিল।"
গত ৮ ডিসেম্বর, মাত্র ১২ দিনের এক ঝটিকা অভিযানে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের নিয়ন্ত্রণ নেয় এইচটিএস ও আরও কয়েকটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। দেশ ছেড়ে রাশিয়ায় পালিয়ে যান বাশার আল-আসাদ, যিনি ২৪ বছর ধরে সিরিয়ার ক্ষমতায় ছিলেন।
সানা জানায়, এইচটিএস প্রধান আহমেদ আল শারা ওরফে আবু মোহাম্মদ জোলানি সামরিক প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠনের লক্ষ্যে বিদ্রোহী বিভিন্ন গোষ্ঠীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। জোলানি উল্লেখ করেন, "মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা আনতে সিরিয়ার নতুন প্রশাসন আরও কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।"
সিরিয়ার নতুন প্রশাসন দেশটিকে পুনর্গঠনের জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা কামনা করছে। একই সঙ্গে, তারা অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।